হালাল ইনভেস্টমেন্ট
ইনভেস্টমেন্ট হলো এমন একটি শব্দ যা আমাদের জীবনের সাথে উতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে।আপনি একটু গভীরভাবে লক্ষ্য করলে দেখবেন আমরা আমাদের সারাটি জীবন-ই ইনভেস্টমেন্ট করি, কেউবা শিক্ষায়, কেউ ব্যবসায়, কেউবা চাকরি, কেউ বাজে কাজে ইত্যাদি নানান জায়গায় আমরা আমাদের সময় গুলো ব্যয় করি এটাই ইনভেস্টমেন্ট।কারণ,ইনভেস্টমেন্ট শুধু আয়ের ক্ষেত্রে হয়না যেকোনো ক্ষেএে হতে পারে। এটা নিউটনের সূএের মতো যেমন দিবেন তেমন অবশ্যই ফেরত পাবেন।তো আজ আমরা ব্যবসায় ইনভেস্টমেন্ট নিয়ে আলোচনা করবো।কারণ ব্যবসায় এমন একটা মাধ্যম যেটা ছাড়া আমরা চলতেই পারিনা। প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে আমরা সকলেই ব্যবসার সাথে জড়িত। যেটা আপনি আপনি আপনার অতিবাহিত জীবনের প্রতিটি ধাপে লক্ষ্য করলে বুঝতে পারবেন।যাহোক আমরা আজকে ব্যবসার প্রত্যক্ষ তথা সরাসরি ব্যবসার ক্ষেএে হালাল দিক সমূহ নিয়ে আলোকপাত করবো।তাই মুসলিমদের জন্য আজকের লেখাটি বা আর্টিকেলটি খুবই জরুরি। আসলে হালাল মানেই উন্নতি বা কল্যাণকর।চলুন শুরু করা যাক।
মুরাবাহাঃ ক্রেতা যে মূল্যে পণ্য ক্রয় করেছে সেই মূল্যের সাথে উভয় পক্ষের সম্মতিক্রমে অতিরিক্ত মুনাফা (যা শতকরা হারে অথবা সুনির্দিষ্ট অংকে মূল্যের উপর নির্ধারণ করা যেতে পারে ) যুক্ত করে পণ্যটি বিক্রি করা।
মুশারাকাঃ মুশারাকা মানে হলো অংশীদারি ভিত্তিতে ব্যবসায় করা।যেটাকে আমরা শেয়ার ব্যবসা বলি।এখানেও কোন প্রকার হারাম পণ্য বা দূর্ণীতি করে অথবা ব্যবসাটাকে জুয়ার বাজির মতো করা যাবেনা, যদি হালাল আয় করতে চান।এই পদ্ধতির মূল কথা হলো সকল অংশীদারদের সমান বিনিয়োগ বা শ্রম দিতে হবে এবং লাভ বা মুনাফা এবং সেই সাথে ক্ষতি বা লোকসান সমানভাবে বন্টন হবে।কেউ কম বা বেশি আয় বা লোকসান ভোগ করতে পারবেনা।
মুদারাবাঃ মুদারাবা পদ্ধতি হলো এমন যে আপনি কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে আপনার টাকা বিনিয়োগ করবেন, আর ঐ ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কোন টাকা বিনিয়োগ করবেনা শুধু ব্যবসার কাজে শ্রম বা তদারকি এবং মেধা বিনিয়োগ করবে।যার ফলে লাভ হলে দুই পক্ষই মুনাফা ভোগ করবে আর লোকসান হলে একই ভাবে ভোগ করতে হবে। তবে এখানে আগে থেকেই লাভ লোকসান এর বিষয়ে চুক্তি থাকতেই হবে উভয়ের মাঝে।লাভ লোকসান এর ক্ষেএে যে টাকা দিয়েছে সে তার লাভের অংশ পাবে,আর যে শ্রম দিয়েছে সে তার শ্রমের বিনিময়ে মুনাফা পাবে।অপরদিকে লোকসান হলেও যে টাকা দিয়েছে সে টাকা হারাবে, আর যে শ্রম দিয়েছে তার শ্রম বৃথা যাবে।এখানেও ব্যবসার কাজ আর পণ্য হতে হবে হালাল। হারাম বা প্রতারণার ব্যবসা করা যাবে না।
মুদারাবা চুক্তি বৈধ হওয়ার নীতিমালা ও শর্ত
মুদরাবা চুক্তি বৈধ হওয়ার জন্য শরিয়তের মৌলিক কয়েকটি শর্ত হলো—
১. মুদারাবার পুঁজি নগদ অর্থ হওয়া আবশ্যক। পুঁজি পণ্য, ঋণ, স্থাবর সম্পত্তি ও আসবাব হলে মুদারাবা চুক্তি শুদ্ধ হবে না।
২. চুক্তির সময় পুঁজি এমনভাবে নির্ধারণ ও নির্দিষ্ট করা আবশ্যক, যেন পরবর্তী সময়ে ঝগড়া-বিবাদ তৈরি না হয়। সুতরাং পুঁজিদাতা হয়তো পুঁজি শ্রমদাতার হাতে অর্পণ করবে অথবা ইঙ্গিত প্রদানের মাধ্যমে সুনির্দিষ্ট করে দেবে।
৩. মুদারাবা চুক্তির সময় পুঁজি পুরোপুরিভাবে শ্রমদাতার হাতে ন্যস্ত করা আবশ্যক। পুঁজির ওপর পুঁজিদাতাদের কোনো প্রকার কর্তৃত্ব ও হস্তক্ষেপ থাকতে পারবে না।
৪. পুঁজিদাতা কোনো প্রকার শ্রম দেওয়া থেকে বিরত থাকবে। যদি পুঁজিদাতার শ্রমদানের শর্ত করা হয়, তবে মুদারাবা চুক্তি ফাসিদ হয়ে যাবে।
৫. মুদারাবা ব্যবসায় মুনাফা বণ্টন বাস্তবনির্ভর হতে হবে। কোনো এক পক্ষের জন্য সুনির্দিষ্ট অংশ নির্ধারণ করলে জায়েজ হবে না। যেমন—মূলধনের ১০ শতাংশ। শ্রমদাতা কেবল অর্জিত মুনাফার অংশ পাবে। মূলধনে তার কোনো অংশ থাকবে না।
৬. মূলধনে শ্রমদাতার অংশ শর্ত করলে চুক্তি ফাসিদ হয়ে যাবে।
৭. যদি মুদারাবা ব্যবসায় লোকসান হয়, তবে প্রথমে লভ্যাংশ থেকে কর্তন করা হবে। লভ্যাংশ থেকে লোকসান পূরণ না হলে পুঁজি থেকে তা কর্তন করা হবে। পুঁজিদাতা এই দায় বহন করবে।
৮. শ্রদদাতার ওপর লোকসানের দায় চাপানো জায়েজ নেই। লভ্যাংশে ক্ষতিপূরণ না হলে পুঁজি থেকে তা পূরণ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে শ্রমদাতার শ্রম মূল্যহীন বিবেচিত হবে।
৯. তবে যদি এ কথা অকাট্যভাবে প্রমাণিত হয় যে লোকসানের জন্য শ্রমদাতা দায়ী, তবে লোকসানের দায় তাকেও বহন করতে হবে।
১০. মুদাবারা চুক্তিতে মূলধন ও ব্যবসা হালাল হওয়া আবশ্যক। ব্যবসা পরিচালনায় শরিয়তের দৃষ্টিতে বৈধ নয়—এমন কোনো শর্ত আরোপ করা যাবে না।
বিনিয়োগের পদ্ধতি
ব্যবসায়ী প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ বিনিয়োগের জন্য আবেদন করুন ।
চুক্তিপত্রের মাধ্যমে হালালভাবে বিনিয়োগ করুন।
৪ মাস হতে ১ বছর মেয়াদী সহজেই হালাল ইনকাম করা শুরু করেন । বার্ষিক ১৫% হতে ৪০% পর্যন্ত আয় করুন ।
মাত্র ১ লক্ষ হতে যে কোন পরিমান অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ ।
আমাদের ব্যবসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন নিচের দেয়া লিংক